বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। সে সব ঘটনায় শত শত মানুষ হতাহত হয়। কিন্তু ঐসব দেশের বিরোধী রাজনৈতিক মহল বা সুশীল সমাজ কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বদলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ্ঐ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আজ সময় এসেছে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। সরকার যেখানে জঙ্গি ঘটনায় জিরো টলারেন্স দেখাতে বদ্ধপরিকর সেখানে জনগণ আস্থা রাখে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের উচিত দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এর পাশাপাশি নজর রাখতে হবে কোন্ এলাকায় কারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বা মদদ দিচ্ছে। চিহ্নিত জঙ্গিদের শাস্তিদানের পাশাপাশি যেন নতুন কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শান্তিকামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দলমত নির্বিশেষে এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকারের নজরদারির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের যৌথ ভূমিকাই আমাদের এ বিভীষিকা থেকে মুক্তি দিতে পারে।