দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম উত্তরা ইউনিভার্সিটি। এর ভিসি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. এম আজিজুর রহমান এবং প্রো-ভিসির দায়িত্বে আছেন ড. ইয়াসমিন আরা লেখা। ড. ইয়াসমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন এবং ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে_ষআপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলুন।ষষশিক্ষাকে বাণিজ্যনির্ভর নয়, সেবামূলক কার্যক্রমে পরিণত করতে এবং উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করে সাশ্রয়ী খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের লক্ষ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির পথচলা। উত্তরা ইউনিভার্সিটি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের মাধ্যমে দেশে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।

এ ইউনিভার্সিটির দর্শন এবং লক্ষ্যকে ফলপ্রসূতার দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে ভাইস চ্যান্সেলর পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ ড. এম আজিজুর রহমানকে। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি লক্ষ্যে উত্তরা ইনিভার্সিটির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।ষএ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।ষষদেশে বর্তমানে অর্ধশত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পড়ালেখার খরচ কিছুটা বেশি। পক্ষান্তরে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ব্যতিক্রম। সরকার নির্ধারিত ৫% ছাত্র কোটা ফ্রি পড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড থেকে মেধাভিত্তিক আর্থিক সাহায্য করা হয়। তাছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোর্স ফিও কম। শতভাগ সেশনজটমুক্ত এবং সঠিক সময়ে ফল প্রকাশ করে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে মেধাবী ও ভালো শিক্ষকরা পাঠদান করে থাকেন। এক কথায় বলা যায়, সীমিত আয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চমানের শিক্ষা লাভের একমাত্র প্রতিষ্ঠান উত্তরা ইউনিভার্সিটি।ষআপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন।ষষএখানে ৫টি ফ্যাকালটিতে ১২টি ডিপার্টমেন্ট ও ৭ হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা পূর্ণকালীন ১২০ এবং খণ্ডকালীন ২৬ জন। উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ৩টি সিমেস্টারে (স্প্রিং, সামার ও ফল) ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। ২টি সমাবর্তনে এ পর্যন্ত ৬ হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়ে সফলতার সঙ্গে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটির মিরপুর ও উত্তরায় দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে। রাজধানীর তুরাগে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। ফিজিক্যাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টটি বাংলাদেশে একমাত্র উত্তরা ইউনিভার্সিটিতেই রয়েছে।ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বলুন।ষষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ মাস ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির কারণে কলহ লেগেই থাকে। ফলে সেশনজট স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শতভাগ রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত। সেশনজটও নেই। ষআপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন।ষষস্থায়ী ক্যাম্পাসকে ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার স্থাপন এবং যুগোপযোগী বিভিন্ন কোর্স চালু করা হবে। এর মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। আমি শিক্ষার্থীদের বলতে চাই_ নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোল।সাক্ষাৎকার গ্রহণ : হাসান তারিক